মোঃ আহসান উল হক তুহিন: রংপুরে নানা অপরাধে আট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক)। সোমবার এসব অভিযান চালানো হয়।
বেলা দেড়টায় নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন দখীগঞ্জ এলাকায় রংপুর ইন্জিনিয়ারিং কলেজ মোড়ে (তুত্ ফার্ম মোড়) দুটি প্রতিষ্ঠান ও আরসিসিআই কলেজ মোড় শালবন এলাকায় তিনটি প্রতিষ্ঠানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ বিভিন্ন ধারায় জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়। অভিযানে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন।
এদিকে, একই দিন বিকেল প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদ হাসান মৃধা হৃদয় নগরীর হারাগাছ থানাধীন তালুক বক্সা এলাকায় সানজিদা এবং পুষ্টি নামে দুটি বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠান দুটিতে ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, প্রস্তুতকৃত খাদ্যপণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ না থাকা এবং ক্ষতিকর পদার্থের মিশ্রণ দেয়ার অপরাধে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা স্যানিটারী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান।
উভয় অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করে মেট্রোপলিটন পুলিশ ফোর্স ও ক্যাব রংপুর।
এছাড়াও, এই দিন দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জের খালাশপীরে একটি গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন।
এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের সকল আলামত ধ্বংস করে প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করা হয়।
জানা যায়, বকুল নামে এক ব্যক্তি সেখানে ভেজাল গুড় তৈরি করছিলেন। সেখানে চিটা গুড়ের সঙ্গে সুজি, চিনি, রঙ ও হাইড্রোজ মিশিয়ে গুড় বানানো হচ্ছিল। ওই গুড়ের পাত্রসমূহ খোলা অবস্থায় রাখার কারণে সেখানে মরা কাঠবিড়ালি পড়েছিল।
এই অভিযানে সহায়তা করে র্যাব- ১৩ ও পীরগঞ্জের স্যানিটারি কর্মকর্তা।