ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রায় দুই হাজার গ্রাহক তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। এতে প্রচণ্ড তাপদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। বিপাকে পড়েছে্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরাও।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বালিয়াকান্দির ৪৮ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। তিন দিন ধরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত লাইনে কাজ করলেও এখন পর্যন্ত সব গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে পারেননি। এখনও বালিয়াকান্দির জামালপুরের হঠাৎপাড়া, মণ্ডলপাড়া, তুলসী বরাট, নবাবপুরের সদাশিবপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা, করচাডাঙ্গী, তালতলা, মোহাম্মাদপুর এলাকাসহ জঙ্গল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন রয়েছেন। রোববার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এতে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে পরীক্ষার্থীদের।
বালিয়াকান্দি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দির সাতটি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন মোট গ্রাহকের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫১৯ জন। শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তারা ৪৬ হাজার ৫০০ গ্রাহককে বিদ্যুতের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করে। বাকি দুই হাজার গ্রাহক শনিবার রাতের মধ্যেই বিদ্যুৎ পেয়ে যাবেন বলে সূত্রটি জানায়।
বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নকিব শেখ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের এলাকার বিদ্যুৎ চলে যায়। শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। একবার বিদ্যুতের লোক এসেছিল। কোনো কাজ হয়নি। বাচ্চারা এই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। বৃদ্ধ মানুষগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
উপজেলা নটাপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক কমলা রানী বলেন, তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। বাড়িতে দুটি বাচ্চা রয়েছে। তারা প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছে। ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে গেছে। ভীষণ ভোগান্তিতে পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। রোববার পরীক্ষা শুরু। অথচ বিদ্যুৎ না থাকায় তারা ঠিকমতো এই গরমে লেখাপড়া করতে পারছে না। একদিনের ঝড়ে তিন দিন বিদ্যুৎ না থাকা সত্যি কষ্টদায়ক।
তবে বালিয়াকান্দি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ জি এম শামসুল হক বলেন, কালবৈশাখীর কারণে লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাদের কর্মীরা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শনিবার রাতের মধ্যেই বালিয়াকান্দির সব গ্রাহক বিদ্যুৎ পেয়ে যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।