ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজবাড়ীতে বিভিন্ন অপরাধে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সদর উপজেলার অন্তারমোড় বাজার ও নবগ্রাম বাজার এলাকায় বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, মুদী ও মনোহরী সামগ্রী বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান।
অভিযানে সদর উপজেলার অন্তার মোড় বাজারের ইসলাম গাজী স্টোরকে পণ্যের মোড়ক ব্যবহার ও মোড়কজাতকরণ সংশ্লিষ্ট বিধিমালা যথাযথ ভাবে প্রতিপালন না করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৭ ও ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
ওই বাজারের সুজাত স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
নবগ্রাম বাজারের জমির স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে এক হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
ওই বাজারের তামিম স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে এক হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
সাঈদ স্টোরকে পণ্যের মোড়ক ব্যবহার ও মোড়কজাতকরণ সংশ্লিষ্ট বিধিমালা যথাযথ ভাবে প্রতিপালন না করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৭ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে এক হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে নিষিদ্ধ পণ্যের উৎপাদন ও বিক্রয়রোধ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ রোধসহ, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য এবং অননুমোদিত ও অবৈধ পণ্য বিক্রয় না করাসহ ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়।
এছাড়াও, নির্ধারিত নিত্যপণ্যের মূল্য যথাযথ ভাবে বিক্রয় সঠিকতা যাচাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয় এবং সরকার নির্ধারিত বিধির অধীন যথানিয়মে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়।
জেলা প্রশাসন রাজবাড়ী, জেলা পুলিশ রাজবাড়ী ও সদর থানা, উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সদর উপজেলা রাজবাড়ী এবং জেলা চেম্বার অব্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
জনস্বার্থে এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।