ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: শীত আসতে এখনও প্রায় দুই মাস বাকি। তবে এরই মধ্যে রাজশাহীর কাঁচা বাজারে মিলছে নানা ধরনের শীতকালীন সবজি। তবে বাজারে এসব সবজি মিললেও তা বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামেই।
শুক্রবার মহানগরীর সাহেববাজারের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৪০ টাকা কেজির কম দরে বাজারে মিলছে না কোন সবজি। আর ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে অসন্তোষ সাধারণ ক্রেতাদের।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন সবজি এলে শুরুর দিকে দাম একটু বেশি থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সবজির আমদানি কম থাকার কারণেও দাম একটু বেশি। তবে কিছু দিন পর এ সকল সবজির দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালেই থাকবে।
সাহেববাজার কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে আসা তাসনীম বলেন, যেহেতু হালকা হালকা শীত পড়তে শুরু করেছে তাই এখন বাসার সবাই শীতের সবজি খেতে পছন্দ করবে। কিন্তু বাজারে এসে দেখছি শীতের সবজিগুলোর বেশ চড়া দাম। যা আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের একদম নাগালের বাইরে।
সবজি বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, শীতের সবজি এখন কিছু কিছু উঠেছে। ভালো ভাবে শীত পড়তে শুরু করলে বাজারে শীতের সবজি সব উঠে যাবে। প্রতি বছরই শীতের শুরুর দিকে এই সময়টায় সবজির দাম চড়া থাকে। কিছু দিন গেলেই এই দামগুলো কমে যাবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি টমেটো ১৪০-১৬০ টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, আলু ২৫ টাকা, শসা ৭০-৮০ টাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিংগা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও বাজারে দেখা মিলছে লাল, হলুদ, সবুজ রঙের ক্যাপসিকামের। যা বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা কেজিতে।
বাজার ঘুরে আরও জানা গেছে, আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে, দেশি পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা, রসুন ৯০-১০০ টাকা করে কেজি।
অন্যদিকে, বেড়েছে ডিমের দামও। সাদা ডিমের হালি ৪৪ টাকা ও লাল ডিম ৪৬ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও সোনালী মুরগী ২৯০-৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৪১০-৪২০ টাকা ও হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজি হিসেবে।