ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে পিয়ারলেস (প্রা.) হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারি ওষুধ জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় হাসপাতালটির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান আসাদকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ।
অভিযানকালে সহযোগিতায় ছিল ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। হাসপাতালের পেছনে স্টল রুম এবং দ্বিতীয় তলায় একটি থাকার রুম থেকে তল্লাশি চালিয়ে সরকারি ইনজেকশনসহ বিক্রয় নিষিদ্ধ চার ধরনের ওষুধ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে সিভিল সার্জন অফিসের খাদ্য পরিদর্শক মো. বজলুর রশিদ খান, ওষুধ প্রশাসনের অফিস সহকারী শরিফ সাহেদসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ গোপনে সংগ্রহ করে হাসপাতাল মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান (আসাদ) হাসপাতালে এনে রোগীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতেন। এছাড়া হাসপাতালটির লাইসেন্সসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে গোঁজামিলসহ ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, পিয়ারলেস নামে বেসরকারি হাসপাতালটিতে সরকারি ওষুধ পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আপনাদের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে ভুল চিকিৎসা কিংবা অপারেশনের ত্রুটি হলে এটা দেখার দায়িত্ব আমাদের। সরকারি ওষুধ বেসরকারি হাসপাতালে বিক্রির বিষয়টি আমার দেখার দায়িত্ব নয়।