মোঃ আহসান উল হক তুহিন: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায় যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মশার কয়েল কারখানা। এগুলোর সবগুলোই পরিবেশ অধিদপ্তরের লাল তালিকাভুক্ত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই সমস্ত কারখানাগুলো এক সময় তামাকজাত পণ্যের গুদাম ছিল। পরবর্তীকালে তামাক শিল্পের অবস্থা পড়ে যেতে থাকলে গুদামগুলো সংস্থার করে বিভিন্ন নামে মশা মারার কয়েল কারখানায় পরিবর্তিত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সমস্ত কারখানায় গড়ে নারী, পুরুষ মিলে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন শ্রমিক প্রত্যক্ষ এবং কমপক্ষে আরও ২০ থেকে ৩০ জন করে পরোক্ষ ভাবে জড়িত।
সোমবার বিকেলে কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায় ‘কাজল এ্যাকশন মশার কয়েল কারখানা’য় অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর জেলা কার্যালয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন।
অভিযান চলাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যতিত শ্রমিকদের কার্যক্রম ধরা পড়ে। সে সময় পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র না থাকায় কারখানার মালিককে প্রাথমিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভোক্তা-অধিকার আইনের ৪৩ ধারায় ছয় হাজার টাকা তাৎক্ষণিক জরিমানা করা হয়। অতিসত্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পরিবেশ ছাড়পত্র সংশোধনের জন্য বলেন।
পরে মেনাজ বাজার এলাকায় ‘স্মৃতি হোটেলে’ একই ধারায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন।
অভিযানে সহায়তা করে মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ক্যাব রংপুর।