ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সাতক্ষীরার তালায় ৯৬০ কেজি ভেজাল দুধ ও ৩৫০ কেজি জেলিসহ উৎপাদনকারী এক নেতাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তার জেয়ালা নলতার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আটককৃত প্রশান্ত কুমার ঘোষ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি ও উপজেলার জেয়ালা নলতার বাসিন্দা।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তালা উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন তাকে দণ্ডাদেশ দেন।
নলতা গ্রামের সমীর ঘোষ, খগেন ঘোষ, সামছুর রহমানসহ কয়েকজন জানান, ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশান্ত কুমার ঘোষ ও তার সহযোগীরা মেশিনের সাহায্যে সয়াবিন তেল দিয়ে কৃত্রিম ননী তৈরি করে নকল দুধ তৈরি করতেন। একই ভাবে তারা ভারতীয় নিম্নমানের গুঁড়ো দুধে গ্লুকোজ মিশিয়ে ল্যাক্টোমিটারে ননীর মাত্রা ২৫ থেকে ২৮ দেখিয়ে বাজারজাত করতেন। এ কাজে তারা জেলি ব্যবহার করতেন। অপদ্রব্য মিশ্রিত এ দুধ তারা খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন মিষ্টি তৈরির কারখানায়, প্রাণ, ব্র্যাক ও মিল্কভিটায় বিক্রি করতেন। ওই সব প্রতিষ্ঠানের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রশান্ত কুমার ঘোষ ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এ কাজের বৈধতা দিতেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান ও তালা উপজেলার স্যানিটারি ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শরিফ মো. আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে জেলা স্যানিটারি পরিদর্শক রথীন্দ্রনাথ সরকার, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান ও তালা উপজেলার উপ-পরিদর্শক মনির তালা দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি ও মিল্কভিটা সমবায় সমিতির তালা উপজেলা শাখার সভাপতি প্রশান্ত কুমার ঘোষের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ৩৫০ কেজি জেলি ও প্রতি ক্যানে ৪০ কেজি করে ভেজাল দুধ ভর্তি ২৮টি ক্যানসহ তাকে আটক করে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, জরিমানার টাকা দিতে না পারায় প্রশান্ত কুমার ঘোষকে এক বছর জেল খাটতে হবে। তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।