মোঃ আহসান উল হক তুহিন: রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানার অন্তর্গত জে বি সেন রোডে অবস্থিত ‘উইশ লাচ্ছা সেমাই’ কারখানায় তদারকি অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আজাহারুল ইসলাম (সিনিয়র সহকারী সচিব)।
তদারকি চলাকালে সেখানে তারা দেখতে পান যে অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে একটি বাসার ভেতরে কমলা রং, ঘি ফ্লেভার ও নিম্নমানের উপাদানে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। প্রায় অর্ধ শতাধিক শ্রমিক কাজ করলেও তাদের শরীরের ছিল না কোন এ্যাপ্রোন, টুপি, মাস্ক ও গ্লাভস।
প্রচন্ড গরমে শরীরের ঘাম গড়িয়ে পড়ছে সেমাই এ। ওজন করে দেখা গেল নীট ওজন ৪০০ গ্ৰাম লেখা থাকলেও শুধু সেমাই এর ওজন হচ্ছে ৩৪০ গ্ৰাম অর্থাৎ প্রতি প্যাকেটে ৬০ গ্ৰাম লাচ্ছা সেমাই নেই।
ওই কারখানার প্রতি ৪০০ গ্ৰাম লাচ্ছা সেমাই এর মূল্য ধরা হয়েছে ১৬০ টাকা।
এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা-অধিকার আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপ-পরিচালক মো. আজাহারুল ইসলাম।
পরে সাতমাথা এলাকায় দুটি ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং ইফতারের বুন্দিয়াসহ বিভিন্ন খাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তদারকিতে সহায়তা করে ক্যাব রংপুর জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স।