নিত্যপণ্য, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যখন কম ছিল, তখন সরকার ৪৩ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এই মুনাফা দিয়ে সরকার চার মাস ভর্তুকি দিতে পারলো না। আবার বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশীয় বাজারে দাম কমে না।
তিনি বলেন, এক বোতল পানির দাম ১৫ টাকা। অথচ একটি মুলাতে ৯০০ গ্রাম পানি থাকে। তার দাম ৮ টাকা কেজি। আমাদের কৃষক সমাজ এখনও অবহেলিত। তেলের দাম বাড়লে কৃষকের শস্য উৎপাদনের খরচ বেড়ে যায়। কিন্তু তারা সেই শস্য সঠিক দামে বিক্রি করতে পারে না। অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলসহ বাস ভাড়া কমিয়ে সব কিছু সহনীয় মাত্রায় আনতে হবে।
হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী জামান কবির বলেন, সরকারকে জিম্মি করে পরিবহন মাফিয়ারা ইচ্ছে মতো ভাড়া বাড়িয়েছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ায় সরকার নাকি তেলের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু সরকার বিদেশ থেকে রাতারাতি তেল আমদানি করে না। কমপক্ষে ছয় মাসের তেল আমদানি করে রাখে। আমরা সরকারকে বলতে চাই, মানুষ খাওয়া কমাবে না, আপনারা খাওয়া কমান।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বেড়েছে। কিন্তু বরিশালে এলপিজি চালিত সিএনজিগুলো রূপাতলী থেকে সদর পর্যন্ত ২০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। এই অতিরিক্ত ভাড়া শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ডাল-ভাত খেয়ে জীবনযাপন করে। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে আমাদের হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা সরকার, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ ও মাসুদ রানা।