বরিশালের খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা কমেছে। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এছাড়া সবজিসহ কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বিশেষ কোনো হেরফের হয়নি।
নগরীর পুরানবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ছিল ৭০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম একই আছে।
শীতের সবজি বাজারে উঠলেও দাম চড়া। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। বাঁধাকপি ৫০ টাকা, মুলা ৪০-৫০, ধনেপাতা ১০০, টমেটো ১৬০ ও ফুলকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন, বরবটি ও কাঁকরোল ৬০ টাকা, করলা, ঢেঁড়শ ও চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১৪০, গাজর ১৮০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা ও ঝিঙে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৩৬-১৩৮ এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৪৯-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না আদা ১৩৫-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ৬০-৮০ টাকা, চায়না রসুন ১৩৫-১৪০ টাকা, মসুর ডাল (বড়দানা) ৯০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা, প্যাকেট আটা ৩৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৪৫-৪৬ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি গুটি স্বর্ণা ৪৪-৫০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫০-৫৪ টাকা, মিনিকেট ৫৮-৬০ টাকায়, নাজিরশাইল ৬৫-৭০ টাকায় ও পাইজাম ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ১৬০ টাকা, লেয়ার বা কক ২৪০ টাকা ও সোনালি মুরগির ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৮০-৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৮০-৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেলে ও চিংড়ি আকারভেদে কেজি প্রতি ৬৫০-১০০০ টাকা, বোয়াল ৪০০-৬০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০-৭০০ টাকা, শিং ৭০০-৮৫০ টাকা, রুই-কাতল মান ও আকারভেদে ৩৫০-৬৫০ টাকা ও আইড় মাছ আকারভেদে ৬০০-৯০০ টাকা কেজি হাঁকা হচ্ছে। ছোট আকারের পুঁটি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে।
পুরান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মো. আউয়াল মোল্লা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দামের উত্তাপ চলছেই। শীতের সবজি উঠলেও দাম অনেক বেশি। মাছের দামও চড়া। সব মিলিয়ে বলা যায় নিত্যপণ্যের দাম মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
নগরীর পুরান বাজারের খুচরা মুদি দোকানি জহির স্টোরের মালিক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বাজারে পেঁয়াজ ছাড়া অন্য কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশেষ কোনো হেরফের হয়নি। শুল্ক প্রত্যাহারে খবরে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫টাকা কমেছিল। কিন্তু আজ সকালে আড়তে গিয়ে দেখা যায় পাইকারি বাজারে দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। এ কারণে ইচ্ছে থাকলেও দোকানের জন্য আজ পেঁয়াজ কেনা হয়নি। আগের পেঁয়াজই বিক্রি করছি।