ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বরিশালের পাইকারি বাজারে একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরো বাজারে।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে দেশের কৃষকরা পণ্য বাজারে নিয়ে আসতে না পারায় এবং শুক্রবার ও শনিবার ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে দুই/একদিনের মধ্যে বাজার দর আবার আগের জায়গাতে চলে আসবে।
বরিশাল শহরের একমাত্র বৃহৎ কাঁচাপণ্যের পাইকার বাজার সিটি মার্কেটে শুক্রবার যেখানে কাঁচা মরিচের কেজি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা ছিল সেখানে শনিবার কেজিপ্রতি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
এছাড়া, একদিনের ব্যবধানে শনিবার ২৫ থেকে ৩০ টাকার পটল কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকা, ৩৫ থেকে ৪০ টাকার শসা কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকা, ১২০ থেকে ১৫০ টাকার গাজর কেজিপ্রতি ১৫০-১৮০ টাকা, ৪৫ টাকার লাউ ৫০-৬০ টাকা, ৩০ টাকার ঝিঙা কেজিপ্রতি ৪০-৪৫ টাকা, ৪০ টাকার বরবটি কেজিপ্রতি ৬০ টাকা, ৮০ থেকে ৩০ টাকার করলা কেজিপ্রতি ৯০ টাকা, ৭০ থেকে ৮০ টাকার বেগুন কেজিপ্রতি ৯০ টাকা, ৩৫ থেকে ৪০ টাকার পটল কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এ বাজারে। তবে মিষ্টি কুমড়া অপরিবর্তিত ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম শুভ জানান, মেহেরপুর, চুয়াডাঙা, কুষ্টিয়া, যশোর ও ঈশ্বরদীতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে সবজি উত্তোলন করতে পারেননি, তাই বাজারে চাহিদার থেকে সবজি আমদানি কম হয়েছে। আবার শুক্র ও শনিবার ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় মরিচও আমদানি হয়নি। আর এ কারণে পাইকার বাজারে মরিচসহ কিছু সবজির দর বেড়েছে।
তবে দুই/একদিনের মধ্যে কাঁচা পণ্যের দর আবার স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী দুলাল বাণিজ্যালয়ের প্রোপাইটর সিরাজুল ইসলাম দুলাল।
তিনি জানান, মোকাম থেকে ব্যবসায়ীরা সবজি কিনে পাঠান পাইকারি বাজারে। আর তারা যে দরে বিক্রি করতে বলেন চালান দেখে সেই দরেই বিক্রি হয়ে থাকে সিটি মার্কেটে। এখানে পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের দর নিয়ন্ত্রণে কোনো হাত থাকে না।
এদিকে, পাইকার বাজারে দর বেশি হওয়ার প্রভাব পড়েছে খুচরো বাজারে।
নগরের বাংলাবাজার থেকে সবজি ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে সব সবজির দামই কেজি প্রতি ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে মরিচের দর বেড়েছে অনেক বেশি। আজ কাঁচা মরিচ কিনলাম ৪০০ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকার বাজারে দর বেড়ে গেলে তাদের কিছু করার থাকে না। আর মরিচসহ অন্যান্য সবজি যাদের কাছে
শুক্রবারের কেনা ছিল তারা ৪০০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি করছেন, আর আজ যারা এনেছেন তাদের আরও কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।