ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বরিশালের বাবুগঞ্জে মরা গরু জবাই করার অভিযোগে আটক এক কসাইকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাকিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিলা রহমান।
দণ্ডিত কসাই আবুল কালাম তালুকদার উপজেলার আগরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ইউএনও বলেন, বুধবার গভীর রাতে স্থানীয়দের কাছ থেকে মরা গরু জবাই দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জবাই দেওয়া গরুসহ কসাইকে আটক করে। জবাই দেওয়া গরু মৃত ছিল কি না নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আপাতত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গরু জবাই দেওয়ার অভিযোগে কসাইকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জবাই করা পশুর মাংস বিনষ্ট করার জন্য উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত বলতে পারবো গরু মরা ছিল কি না। তবে আশপাশের ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যা জানা গেছে, তাতে ধারণা করছি গরুটি মরা ছিল। অসুস্থ গরু জবাই দেয়াও অপরাধ। তাই গরুর মাংস উদ্ধার করে কেরোসিন দিয়ে নির্জন স্থানে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
বাবুগঞ্জের আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সনজিৎ চন্দ্র শীল বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে জবাই দেওয়া গরুসহ একজনকে আটক করা হয়। সকালে তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা পরোয়ানায় দণ্ডিত কসাই আবুল কালাম তালুকদারকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পিকআপচালক রাব্বি হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার দিবাগত রাতে গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া এলাকা থেকে একটি সুস্থ ও একটি অসুস্থ গরু মিনি ট্রাকে করে আগরপুর বাজারের কসাই সেন্টু হাওলাদার নিয়ে আসেন। পথিমধ্যে অসুস্থ গরু মারা যায়। পরে সুস্থ গরু বাজারে রেখে মৃত গরুটি আগরপুর গ্রামের সোহান ফকিরের বাড়িতে নিয়ে জবাই করা হয়। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে বাড়িতে অবস্থান নেয়। প্রথমে পুলিশকে অবহিত করা হয়। তারা ব্যবস্থা না নেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন প্রতিবেশীরা। তার নির্দেশ পেয়ে পুলিশ এসে জবাই করা গরু উদ্ধার ও একজনকে আটক করেছে।