ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বরিশালে চালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। তবে মাছের বাজার দর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
বরিশালের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী হলেও কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। সেই সাথে অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, পেঁয়াজ আর রসুনের দাম।
বাজারে নতুন আসা সবজির মধ্যে সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। টমেটোর কেজি ২৬০ টাকা, বরবটি আর ঢ্যাঁড়স ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০০ টাকার নিচে রয়েছে পটল এবং করলা ৮০ টাকা আর শসা ও পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চললেও চাষের মাছের সরবরাহ থাকায় মাছের বাজারদর বাড়েনি। যদিও মুরগির মাংসের বেলায় কোথাও কোথাও কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা আর গরু ও খাসির মাংসে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আমিনুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজ, রসুন, আদা বা আলুর দামে কোনো পরিবর্তন নেই। আর দাম কমার কথা শুনলেও ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা হালিতেই ডিম স্থান ভেদে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
আলেয়া পারভীন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গত এক মাসে সবকিছুর যে দর বেড়েছে, তার অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। তবে কমে আগের দামের কাছাকাছিও যায়নি। আবার শীতের সবজি আশা শুরু করলেও তার দাম আকাঁশচুম্বী।
এ নিয়ে ক্রেতারা বলছেন, তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে পারছেন না তারা। বাজার তদারকি নামমাত্র না করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তোলেন ক্রেতারা।
যদিও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে।
তবে ক্রেতারা বলছেন, অভিযানের সময় আর বাজার জমে ওঠার সময় আলাদা হওয়ায় এর সুফল নেই।
হায়দার নামে এক দিনমজুর বলেন, বরিশালের বিভিন্ন বাজারে সকাল ৬টা থেকে ৯টা আর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে বেচাবিক্রির ধুম পড়ে। কিন্তু অভিযান চালানো হয় অফিসিয়াল টাইম সকাল ১০টা নয়তো ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে। তখন তো বাজারে ক্রেতা থাকে না, ফলে বাড়তি দামে পণ্য বিক্রির বিষয়টি তেমন ভাবে উঠেও আসে না।
যদিও খুচরা বিক্রেতা বলছেন, পাইকারিতে বাড়তি দরে কিনতে হয় বলে খুচরা বাজারেও বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়। অতিরিক্ত মুনাফা করছেন খুচরা বিক্রেতারা।