ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ভোলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে কমেছে সব ধরনের সবজির মূল্য। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিপ্রতি সবজির মূল্য কমেছে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে ক্রেতারা।
আর বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়াতে মূল্য কমেছে।
শুক্রবার সকালে জেলা শহরের সর্ববৃহৎ কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
পাইকারি আড়ৎদাররা জানান, রেখার পাইকারি দাম কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা কমে ৪-৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ২০-২৫ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকায়, একই ভাবে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ো ১০-১২ টাকা, ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিস ১০-১২ টাকা, ধুন্দুল ২০ টাকা কেজি, করলা ৩৫ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, বরবটি ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে সবজির মূল্য কমে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
ভোলা কাঁচাবাজারে কাঁচামাল আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির সরবরাহ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দাম কমে গেছে। আর বাজারের সকল সবজিই স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত। আমরা যখন জেলার বাইরের অন্য জেলা থেকে সবজি আমদানি করি, তখন স্বাভাবিক ভাবে দামটা একটু বেশি থাকে। আর স্থানীয় সবজি বাজারে উঠলে দাম কম হয়।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সুলাইমান বলেন, রোজার প্রথম দিকেও সবজির মূল্য চড়া ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া খারাপ থাকায় মাঠের সবজি পঁচনের আশংকায় তা বাজারজাত করছে কৃষকরা। ফলে সবজির আমদানি বৃদ্ধি পাওয়াতে মূল্য কমেছে। তাই সবজির মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং এর উপরে জোর দেন তিনি। বাসস।