ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বরগুনার আমতলীতে ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে অস্থির হয়ে উঠছে মসলার বাজার। এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে মসলার দাম।
আমতলীসহ উপকূলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে গরম মসলা বাজারের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। স্বল্প ও নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে গেছে মসলার বাজার।
আমতলী পৌর শহরের খলিল মহাজন ও লাল মিয়ার মুদি মনোহরি দোকানে গিয়ে দেখা যায়- রসুন গত বছর ছিল ১২০ টাকা এ বছর ২৪০ টাকা, গত বছর ঈদ-উল-আজহার পূর্বে পেঁয়াজ ছিল ৩০ টাকা এখন ৯০ টাকা, আদা ছিল ১৬০ টাকা এখন ২৫০ টাকা, জিরা ছিল ৬০০ টাকা এখন ১০০০ টাকা, গোলমরিচ ছিল ৬৫০ টাকা বর্তমানে ৮৫০ টাকা ও এলাচ গত বছর ১৬০০ টাকা এ বছর ৩২০০ টাকা, দারুচিনি গত বছর ৪৫০ টাকা এ বছর ৭৫০ টাকাসহ অন্যান্য মসলার দামও বেড়েছে।
রসুন, পেঁয়াজসহ আমদানি করা মসলার দাম বেঁধে দেয়া সরকারি দর কেউ মানছে না। পাইকারি থেকে ছোট দোকানি পর্যন্ত একে অপরকে দোষারোপ করেই নিজের দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে এখন রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, আদা, এলাচ প্রায় সবই দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী পৌর শহরের মসলা ব্যবসায়ী মো. মামুন বলেন ঢালাও ভাবে বলা হচ্ছে, বাজারে দোকানদাররা সব মসলার দাম বাড়িয়েছেন- এটা ঠিক নয়।
আমতলী পৌর শহরে বাজার করতে আসা শাওন মৃধা বলেন, মসলার বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
বাজারে মসলা ক্রয় করতে আসা মো. সাইদুল বলেন, মসলার যে দাম তা আমাদের মত সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা মাফিক দাম বাড়াচ্ছে।
সুমন মিয়া বলেন, সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, যে সকল ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে পণ্য বিক্রয় করে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।