এ বি এম মুসা: ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অধিকাংশ উপকূলীয় এলাকা। বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার মানুষ।
তবে উপকূলীয় অনেক এলাকায় টাকা দিয়ে মোবাইল চার্জ করে দিতে দেখা গেছে। দুর্যোগের সময়ে জেনারেটর দিয়ে মোবাইল চার্জিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন এলাকার কিছু দোকানদার। মোবাইল ফোনের পাশাপাশি পাওয়ার ব্যাংক, লাইট টাকার বিনিময়ে চার্জ করিয়ে দিচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে টাকার বিনিময়ে মোবাইল চার্জ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি মোবাইলে শতভাগ চার্জ দিতে নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। সেখানে শতাধিক মোবাইল চার্জে ছিল। সুযোগ পেতে সিরিয়াল দিয়ে রেখেছেন আরো অনেকে।
মঠবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোর থেকেই বিদ্যুতের সংযোগ দিতে বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ করছেন। তবে কখন বিদ্যুতের লাইন চালু করা যাবে তা সঠিক করে বলতে পারছেন না তারা।
মঠবাড়িয়া উপজেলার আলগী পাতাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মনির জেনারেটরে মোবাইলে চার্জ দিচ্ছেন টাকার বিনিময়ে। পেশায় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মনির বলেন, ‘তিন দিন ধরে গ্রামে বিদ্যুৎ না আসায় গ্রামের দুই শতাধিক মানুষকে জেনারেটরে মোবাইল প্রতি ২০ টাকায় চার্জ দিয়েছি।’
সেখানে মোবাইল চার্জ দেওয়া রবিউল আকন বলেন, ‘ঘরে সদাই না থাকলেও একদিন চলে। কিন্তু মোবাইল বন্ধ থাকলে মাথা কাজ করে না।’
তিনি বলেন, ‘অবসর সময়ে মোবাইলে ফেসবুক-ইউটিউব দেখে সময় কাটাই।’
মঠবাড়িয়া উপজেলার স্কুল শিক্ষক নাঈমুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ বিহীন পুরো উপজেলা। সেই সাথে ফোনের নেটওয়ার্কও কাজ করছিল না। কবে যে বিদ্যুৎ আসবে তাও অনিশ্চয়তায়। এই সময় জেনারেটর দিয়ে মোবাইল চার্জ দেওয়ায় আমরা অনেক উপকৃত।