চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ঠিকাদারদের দেয়া জামানতের টাকার চেক চসিকের নিজস্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু গত এক বছরের ১৩টি চেক জমা হয়নি হিসাব নম্বরে। মূলত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা এসব চেক চসিকের হিসাব নম্বরে জমা না দিয়ে কৌশলে নিজেই হাতিয়ে নিয়েছেন।
গত এক বছরের বিভিন্নভাবে চসিকের জামানতের ৮৭ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন অগ্রণী ব্যাংক চট্টগ্রাম করপোরেট শাখার ক্লিয়ারিং সেকশনের অফিসার মো. রফিক উদ্দিন কোরাইশী। যদিও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি তার। দালিলিক প্রমাণ পাওয়া এ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
গত বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক ফজলুল বারী বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, গত ১১ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির তাদের এসএনটিডি হিসাব নম্বরে যে পরিমাণ টাকা জমা থাকার কথা সে পরিমাণ টাকা জমা না থাকায় শাখা প্রধানকে ফোন করে জানায়। পরে শাখা প্রধান তাৎক্ষনিক রফিক উদ্দিন কোরাইশীকে টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে চসিকের জামানতের চেকের টাকা আত্মসাত করার বিষয়টি স্বীকার করেন।
ব্যাংক কর্মকর্তা তার বক্তব্যে জানান, ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ জনৈক সুজন মিয়ার নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর খোলেন। ওই ব্যাংক হিসাবে তিনি চসিকের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জামানতের চেক জমা না দিয়ে সুজন মিয়া নামে ওই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে জমা করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রফিক উদ্দিন বিভিন্ন তারিখে মেয়র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অনুকূলে সোনালী ব্যাংক হতে ইস্যুকৃত জামানতের ১৩ টি চেকের ৮৭ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৭ টাকা গ্রহণ করে তা সিটি কপোরেশনের ব্যাংক হিসেবে জমা না করে জনৈক সুজন মিয়ার নামীয় হিসেবে জমা করে তা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করেন। যার বিষয়ে গত ১২ নভেম্বর শাখা প্রধান ডিজিএম মোস্তাক আহমেদ বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি জিডি করেন।