ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। শনিবার নগরীর হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন মহেশখালে এর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এপ্রিল মাসের মধ্যে মশা নিয়ে গবেষণার জন্য চসিকের উদ্যোগে একটি গবেষণাগার চালুর ঘোষণা দেন তিনি।
মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রাম বা গবেষণার পরিবর্তে চলমান পরিস্কার পরিছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম যথাযথ মনিটিরিং এর আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী সংগঠন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।
রোববার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রাম শুরু করার সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধক সিটি করপোরেশনের অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হলেও সিটি করপোরেশনের চলমান কাজের অগ্রগতিতে তা মনে হয় না। আবার চলমান কাজের মান তদারকির ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও দুর্বলতার কারণে সিটি করপোরেশনের অধিবাসীরা সেখান থেকে কাংখিত সেবা পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশন পরিচালিত পরিস্কার পরিছন্নতা কাজে বিপুল পরিমাণ পরিছন্ন কর্মী, সুপারভাইজারসহ নানা লোকবল নিয়োগ করা হলেও মাঠে তাদের দেখা মেলা ভার। যার কারণে সিটি করপোশেনের বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও সেবার মানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সিটি করপোরেশনের দাবি অনুযায়ী ৪১টি ওয়ার্ডে নিয়মমাফিক মশার ওষুধ ছিটানোর কথা বলা হলেও দৃশ্যত নগরীর অধিকাংশ এলাকায় এ ধরনের কার্যক্রম দৃশ্যমান হবার দৃষ্ঠান্ত নাই। বিষয়টি অনেকটাই “কাজীর গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নাই” সে রকমই। মশক নিধন কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কাগজে কলমে হিসাব প্রদানের পরিবর্তে সত্যিকার অর্থে তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা দরকার।
মশক নিধনে গবেষণাগার স্থাপন বা ল্যাব স্থাপনের পরিবর্তে কীটতত্ত্ববিদদের সার্বিক পরামর্শে সত্যিকারের মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে অবশ্যই নগরবাসী উপকৃত হবেন। আর নিয়মমাফিক মশার ওষুধ ছিটানোর কথা বলে কোথাও ফগার মেশিন বা মশক নিধন কর্মীর দেখা মিলছে না? তাহলে গবেষণা করেও কোনো কাংখিত ফলাফল আশা করা যাবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি, নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নালা নর্দমা থেকে ময়লা-আবর্জনা তুলে আবার সেখানেই নিক্ষেপণ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না হবার কারণে ময়লা ও বাসায় জমে থাকা পানি থেকে মশার প্রজনন বাড়ছে। একই সাথে স্থানীয় মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের তদারকি নিশ্চিত করতে হবে।