ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা এক কেজি এলাচ বিক্রি করে এক হাজার টাকা, কখনও তার বেশিও মুনাফা করছেন- এমন প্রমাণ পেয়েছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
তিনি বলেন, এলাচের আমদানি এবং বিক্রয় মূল্যের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত। সেটি হাতেনাতে প্রমাণিত হয়েছে। মাত্র সাড়ে সাত ডলার কেজি দরে এলাচ আমদানি করা হচ্ছে। এর উপরে ৫৯ শতাংশ ট্যাক্স। তারপর বন্দরের চার্জ ও ক্যারিং কস্টসহ সবকিছু মিলিয়ে এক কেজি এলাচের সর্বোচ্চ মূল্য হতে পারে ১৪০০ বা ১৫০০ টাকা। এর বেশি হওয়া কোনো ভাবেই যৌক্তিক না।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু বাজারে এলাচ (প্রতি কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ বা ২৬০০ টাকায়। এটা পাইকারিতে। খুচরা পর্যায়ে কিন্তু এটি আরও বেশি। অভিযানে এলাচের অন্যতম প্রধান আমদানীকারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ অ্যান্ড কোম্পানিকে আমদানি মূল্যের অতিরিক্ত দামে এলাচ বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, একজন আমদানিকারক তিনি কোনো ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করেননি। এ জন্য তাকে জরিমানা করা হয়েছে। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভ যেন করতে না পারে বা বাজারে যেন কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, মূল্য তালিকা ও ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না রাখার অভিযোগে এদিন খাতুনগঞ্জের মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আজমির ভান্ডারকে তিন হাজার এবং ফারুক ট্রেডার্সকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর সরাসরি ডিও/এসও বিক্রির দায়ে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার এবং দ্বীন অ্যান্ড কোম্পানিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও বেশকিছু মসলার দাম বেশি আছে বাজারে। আমরা চেষ্টা করছি দাম বাড়ার কারণ খুঁজে বের করতে। বার বার হাতবদল বা ডিও/এসও বিক্রিও একটি কারণ হতে পারে। এবার সামান্য জরিমানা করা হয়েছে, এরপর আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযানে অংশ নেন সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বক্কর এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল।