ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরের সবচেয়ে বড় ডিমের বাজার পাহাড়তলীর কিছু আড়তে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৭০ পয়সা। ডজন হিসেবে ১৫২ টাকা ৫০ পয়সা।
বুধবার দুপুরে পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন এ তথ্য জানান।
তবে খুচরায় এখনো ১৭০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারের ডিম বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, খামারের লাল (বাদামি) ডিম ১৫৬ টাকা কিনে ১৬৫ টাকা বিক্রি করছি। হাঁসের ডিম ও দেশি মুরগির ডিম ২১৫ টাকা কিনে ২২০ টাকা বিক্রি করছি। কোয়েল পাখির ডিম ২৫টি ৯৫ টাকা।
তিনি বলেন, এক ডজন ডিমের পেছনে কাগজের ঠোঙায় ৯০ পয়সা, পলিথিনে ১ টাকা খরচ। গাড়ি ভাড়া প্রতি ডিমে ২০ পয়সা। ৫-৬ হাজার ডিমে কুলি খরচ ২০০ টাকা, দোকান ভাড়া দিনে ১ হাজার ২০০ টাকা, বিদ্যুৎ ও জেনারেটর ১০০ টাকা, স্টাফের বেতন ও খাওয়া ১ হাজার ৬০০ টাকা, সুইপার ও পানি ৬০ টাকা। ৬ হাজার ডিমে ১০০টি ভাঙা পড়বে। ডিম বেচে তেমন লাভ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, অসহায়দের আমরা ১ হালি ৪৮ টাকা দিচ্ছি।
সরকারি দামে ডিম কিনতে না পারা, রশিদ না দেওয়ার অভিযোগ আছে কিছু আড়তের বিরুদ্ধে। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা টাস্ক ফোর্স ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে।