ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দেশের ছাত্র ও তরুণ সমাজের মাঝে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত, নিত্যপণ্য মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, মানসম্মত শিক্ষা, চিকিৎসা, তথ্যপ্রযুক্তি, আর্থিক লেনদেন এবং জীবন ও জীবিকার সাথে যুক্ত অধিকারসমূহের অব্যবস্থাপনারোধসহ ভোক্তা-অধিকার সুরক্ষায় নিয়োজিত সেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন ‘ক্যাব যুব গ্রুপ কর্ণফুলী উপজেলা’ কমিটি গঠিত হয়েছে।
সরকারি সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আরফিন সুমন সভাপতি, ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের কামাল হোসেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্নাতকের ভর্তি প্রার্থী সিরাতুল মুনতাহা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে।
রোববার চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাটের একটি রেস্তোরাঁয় এ উপলক্ষে একটি পরিচতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের উপস্থিতিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব যুব গ্রুপের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি চৌধুরী আবু হানিফ নোমান, ক্যাব সদরঘাটের মোস্তফা কামাল, ক্যাব চট্টগ্রাম ডিপিও আবু হাসান আজমী প্রমুখ।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি জাবেদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান হোসেন তারা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান উদ্দীন তানজিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আরাফাত জুয়েল, প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস সুমাইয়া, দপ্তর সম্পাদক জমির উদ্দীন সাইমন, সহ-দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন রনি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাকিবুর মাহি, সহ-স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আয়শা সিদ্দিকা, আইন সহায়তা সম্পাদক সোহরাব হোসেন সৈকত, অর্থ সম্পাদক সালাহউদ্দীন মুন্না, যুব ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডলি আকতার, সহ-যুব ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা রিনা, সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস জুয়েনা, আশরাফুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, খোরশিদা তাবাসসুম বর্ষা, নাঈম উদ্দীন, সাইফাতুল জান্নাত আইমিন, সাইফ আল নাঈম, মেহেদী হাসান জয়, আফতাব আহমেদ, ইমতিয়াজ হোসেন মিরাজ, সাদিয়া জাহান সিথী, জাহেদুল ইসলাম ও মুহিবুল ইসলাম মুহিব।
সভায় বক্তারা বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠী, আজকে যারা ছাত্র ও যুব, আগামীতে তারাই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেবে। কিন্তু তারা যদি সমাজে চলমান অনিয়ম, ভোগান্তি, প্রতারণা ও সমস্যাগুলো সম্পর্কে সম্যক অবহিত না হয়, তাহলে পেশাগত জীবনে অথবা ব্যক্তিগত জীবনে এই সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তাই দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে দেশ ও জাতিগঠনমূলক স্বেচ্ছাসেবী সমাজ পরিবর্তন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা দরকার। তারই অংশ হিসেবে ভোক্তা-অধিকার, খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান, মাদক ও ধুমপানবিরোধী প্রচারণা কর্মকাণ্ডে তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্যাব যুব গ্রুপ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
গত ০৫ আগষ্টের আন্দোলনসহ দেশের সবকটি আন্দোলনে তরুণ সমাজ নেতৃত্ব প্রদান করলেও ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে তরুণদেরকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী নিজেদের ফায়দা হাসিলের কারণে তরুণ সমাজ বিভ্রান্ত হয়ে দেশে ও জাতি গঠনমূলক কাজ থেকে বিমুখ হয়ে গেছে। সে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পাড়া মহল্লায় এখন আর সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চর্চা ও স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগগুলো বিকশিত হচ্ছে না। যার কারণে তরুণরা বিপথগামী হচ্ছে। অন্যদিকে কর্পোরেট সংস্কৃতির আগ্রাসনে পড়াশুনা শেষ না করতেই তরুণদের নানা লোভনীয় অফার দিয়ে খন্ডকালীন চাকরি দেয়া হলেও পরক্ষণে তার জবনিকা ঘটে। পরবর্তীতে এর সর্বশেষ পরিণতি হয় অকালে সম্ভাবনাময় অনেক জীবন অকালেই বিকশিত হতে পারছে না।