ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও মিরসরাইসহ সকল এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল ও মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স চত্ত্বরে এ প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ, ভোক্তা-অধিকার সংগঠন ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটারনাল ডেবট (বিডব্লিউজিইডি) এর যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
প্রচারাভিযানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, এডাব চট্টগ্রামের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মৃদুল দাসগুপ্ত, ছাফা মোতালেব কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবু তাহের, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, বাংলাদেশ ভেজিটেল ফ্রুটস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সদস্য মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, বন গবেষণাগার কলেজের অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা আ ব ম হুমায়ুন কবির, খুলশী থানা ক্যাবের সভাপতি লায়ন প্রকৌশলী কাজী হাফিজুর রহমান, কিন্ডার গার্ডেন ঐক্য পরিষদের নেতা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান দুর্জয়, অধ্যক্ষ এস এম আবচার উদ্দীন, মহিলা পরিষদ কালুরঘাটের সভাপতি রুবি খান, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভূঁইয়া, ক্যাব পশ্চিম ষোলশহরের এম এ আওয়াল, ক্যাব চান্দগাঁও এর কলিম উল্যাহ চৌধুরী, আবদুর রহমান, এডাব চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমন্বয়কারী ফোরকান মাহমুদ, ক্যাব যুব গ্রুপের মো. খাইরুল ইসলাম, রাব্বি চৌধুরী, মোহাম্মদ আবরার, চৌধুরী তুষার, ওমর করিম, রাকিব হাসান, পলি দাস, সুরমি দাস, চিং মং মারমা, মো. রায়হান, অমিত দাশ প্রমুখ।
এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বাজার তুলনামলূক হারে অত্যন্ত অশান্ত। ২০২১ সাল থেকে একনাগাড়ে সারা বিশ্বে এলএনজির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড গড়ছে, যা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এবং মূল্যস্ফীতির কারণে উচ্চ থেকে উচ্চতর হয়েছে। বাংলাদেশ একটি দক্ষিণ-এশিয় দেশ, যার গ্যাসের চাহিদার ২০ শতাংশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির উপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক মল্যূস্ফীতির কারণে দেশে এলএনজি আমদানির সক্ষমতা ব্যপক হারে হ্রাস পেয়েছে। অতিরিক্ত দাম দিয়ে এলএনজি ক্রয় বন্ধ করতে সম্পূর্ণরূপে বাধ্য হয়েছে এবং দেশের জ্বালানি ও বিদ্যুতের ঘাটতি, মূল্যবৃদ্ধির অস্থিরতা এবং সরবরাহের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে জলবায়ু-সহিষ্ণু মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকার ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে। বাংলাদেশে যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) বাস্তবায়ন করে তাহলে অন্ততপক্ষে প্রায় ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি সাশ্রয় হবে।’