ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: নিরাপদ ঈদ যাত্রার লক্ষ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বাস টার্মিনাল ও বাস স্ট্যান্ডগুলো থেকে ফিটনেসবিহীন কোনো বাস চলাচল করতে দেবে না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসির সীমানাভুক্ত গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এবং মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালসহ নগরীর বাস স্ট্যান্ডগুলো থেকে যেন ফিটনেসবিহীন কোনো বাস চলাচল করতে না পারে সে লক্ষ্যে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত অভিযান পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অভিযান পরিচালনার করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে পুলিশ নিয়োজিত করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক।
প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, ডিএনসিসির অঞ্চল ১ এ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন, অঞ্চল ২ এ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, অঞ্চল ৩ এ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, অঞ্চল ৪ এ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদ আলী, অঞ্চল ৫ এ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাববীর আহমেদ, অঞ্চল ৬ এ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করবেন।
এছাড়া অঞ্চল ৭ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, এবং অঞ্চল ৯ ও ১০ অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী জিয়উল বাসেত এবং তাপস শীল। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকা সমগ্র ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করবেন।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে এক অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, আসন্ন ঈদে মানুষ যেন নিরাপদে তাদের বাড়িতে যাত্রা করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য বাস টার্মিনালগুলো থেকে যেন কোন ফিটনেসবিহীন বাস না চলতে পারে সেজন্য ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
ওই সময় ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেছিলেন, ফিটনেসবিহীন বাস চলাচলের মাধ্যমে কোনোভাবেই ঈদের খুশিকে নষ্ট করা যাবে না। আমি বাস মালিকদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা ফিটনেসবিহীন কোনো বাস চালাবেন না। যারা ঈদের খুশিতে বাড়িতে যাত্রা করবে তাদের কাউকে যেন কোন ধরনের দুর্ঘটনার কবলে না পড়তে হয়। যে কারণে ফিটনেসবিহীন বাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব আমরা।