ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির এ বাজারে রাজধানীতে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। কোথাও ৮০, কোথাও ৭০ টাকা কেজিতে রসালো এ ফল বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও তো অপরিপক্ব তরমুজ বিক্রির অভিযোগও উঠেছে। অথচ, ফরিদপুরে এ ফল বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়।
মঙ্গলবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে সস্তায় তরমুজ বিক্রি করেছেন স্থানীয় এক চিকিৎসক। পাঁচ কেজির একেকটি তরমুজ পিস হিসেবে তিনি বিক্রি করছেন ২০০ টাকায়। স্বল্পমূল্যে এ ফল পেয়ে ক্রেতারাও দারুণ খুশি।
সকাল থেকে প্রেসক্লাবের সামনে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে সস্তায় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ইফতারের আগ পর্যন্ত। রোজাদারদের কথা চিন্তা করে পুরো রমজান নাহিদ-উল-হক নামে স্থানীয় এক চিকিৎসক অল্প মূল্যে তরমুজ বিক্রি করবেন।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, যেখানে ব্যবসায়ীরা রমজান এলে সব মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন; যে যার মতো মুনাফা আদায় করেন, সেখানে ডা. নাহিদ-উল-হক নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের কাছে সস্তায় তরমুজ বিক্রি করছেন। পাঁচ কেজি ওজনের বড় তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট থেকে বড় আকারের তরমুজ বিক্রি করছেন ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়।
এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ফরিদপুরে স্বল্প আয়ের মানুষ এভাবে সস্তায় তরমুজ কিনতে পেরে বেশ খুশি। বাজারে বড় একটি তরমুজ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে ডা. নাহিদ ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। বিষয়টি প্রান্তিক লোকজনের জন্য সুখকর।
ডা. নাহিদ-উল-হকের পক্ষে তরমুজ বিক্রি করেন মো. মানিক শেখ, সাগর আহমেদ ও নাজমুল হোসেন নামে তিন স্থানীয় তরুণ। তারা বলেন, রমজানে তরমুজের খুব চাহিদা। প্রতিদিন ৭০০ থেকে ১ হাজার তরমুজ বিক্রি করছি। মানুষ স্বল্প মূল্যে কিনতে পেরে খুব খুশি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হরমোন ও অ্যান্ড্রক্রোলজিস্ট ডা. নাহিদ-উল-হক বলেন, ফরিদপুরবাসী তথা সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই ‘থ্রি জেড ক্রিয়েটিভ মিডিয়া’র পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রমজানে তরমুজের ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানদের মাঝে আবেদন রয়েছে। কিন্তু উচ্চমূল্যের কারণে তারা এতো দাম দিয়ে এই তরমুজ কিনে খেতে পারে না। তাদের জন্যই এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ পুরো রমজানে অব্যাহত থাকবে।