ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ফরিদপুরে জনতার বাজার চালু করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী ভাবে এই বাজারের উদ্বোধন করা হয়।
ন্যায্য মূল্যে কৃষকের মাঠ থেকে তরতাজা সবজি সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে ‘জনতার বাজার’ নামে সবজির বাজার চালু করা হয়েছে। এ বাজার থেকে সব ধরনের সবজি কম মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন নিম্নআয়ের মানুষ। সপ্তাহের দুই দিন শনিবার ও বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এ বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে সাত দিনই বাজার চালু রাখার কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা।
কনজুমার ভয়েস বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠনের আয়োজনে এ বাজার চালু করা হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে আলু, পেঁয়াজ, বেগুন, রসুন, মরিচ, লাউসহ বিভিন্ন সবজি বাজার থেকে কম মূল্যে বিক্রি করা হয়।
বাজারে পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি হলেও এখানে বিক্রি করা হয় ১০৫ টাকায়, আলু বিক্রি করা হয় ৫৫ টাকা কেজি দরে, বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। আঁদা ১১০ টাকা কেজি, রসুন ২৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
এছাড়াও, সব ধরনের সবজি বাজার থেকে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বাজারে কম দামে সবজি কিনে খুশি ক্রেতারা। তবে তাদের দাবি সবজির পাশাপাশি ডিমসহ অন্যান্য সামগ্রীও বিক্রি করা হোক।
সবজি কিনতে আসা ক্রেতা রাশেদা বেগম বলেন, এ ধরনের বাজার চালু করায় আমরা খুশি। প্রথম দিনেই এসে দেখছি সব সবজি এ বাজারে কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, এখান থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এছাড়া আলু কিনেছি ৫৫ টাকা কেজি দরে।
আরেক ক্রেতা সাব্বির হোসেন বলেন, সবজির পাশাপাশি এ বাজারে ডিম, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করলে আমরা আরো উপকৃত হতাম। আয়োজকদের কাছে দাবি জানাই সবজির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য যাতে বিক্রি করে তারা।
জনতার বাজারে আসা আরেক ক্রেতা আয়শা হাবিব বলেন, এ বাজার সপ্তাহে দুই দিন চালু থাকবে। আমরা আশা করছি সপ্তাহের সাতদিনই এ বাজার চালু থাক। সাতদিন চালু থাকলে আমরা আরও উপকৃত হতাম।
তিনি বলেন, প্রথম দিনের বাজারে এসে বিভিন্ন সবজি কিনেছি। সব মিলিয়ে বাজার থেকে ১০০ টাকা কমে কিনতে পেরেছি। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় সাধুবাদ জানাই আয়োজকদের।
কনজুমার ভয়েস বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তফা আমির ফয়সাল বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এ বাজার চালু করা হয়েছে। সপ্তাহে দুই দিন এ বাজার চালু থাকবে, পরবর্তীতে সাত দিনই চালু রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া সবজির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীও বিক্রি করা হবে। জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা হয়েছে তিনি আমাদের একটি উন্মুক্ত জায়গার ব্যবস্থা করে দিলে আমরা বৃহৎ পরিসরে বাজার বসাতে পারবো। তখন আরো বেশি মানুষ এখান থেকে বাজার করতে পারবে।
মোস্তফা আমির ফয়সাল বলেন, বাজারের চেয়ে জনতার বাজারে সব ধরনের সবজি কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কম নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও দাম কম নিতে পারবো। প্রথম দিনে জনতার বাজার থেকে তিন শতাধিক মানুষ সবজি ক্রয় করেছেন।