রাজবাড়ীতে কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রাজবাড়ীতে একদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা আর খুচরা বাজারে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ী কাঁচা বাজারের আড়ৎপট্টি ও বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, বুধবার রাজবাড়ীর বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। যা বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। আমাদানি করা এলসি মরিচ না আসায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, রাজবাড়ীর বাজারে উস্তা ১২০, পেঁয়াজ ১১০, গোল বেগুন ৭০, আলু ৬০, পেঁপে ৬০, ঝিঙ্গা ৬০, পটোল ৪০, ধুন্দুল ৪০, বরবটি ৫০, ছোট ও মাঝারি সাইজের লাউ ৫০ টাকাসহ সকল সবজির দাম বেড়েছে। বাজার করতে হিমসিম খাচ্ছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

আব্দুল মালেক, গৌড় চাঁদসহ একাধিক ক্রেতা বলেন, বর্তমান বাজার পুরোপুরি ভাবে অস্বাভাবিক। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি, যা বুধবারও ছিল আড়াইশ টাকার নিচে। উস্তার কেজি ১২০ টাকাসহ সব সবজির দাম আকাশচুম্বি।

তারা বলেন, দিন যাচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। কিন্তু এসব দেখা বা নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই। শুধু মুখে বড় বড় কথা বলে, কাজের কাজ কিছুই হয় না। বর্তমানে আয়ের কয়েকগুণ বেশি ব্যয় হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।

রাজবাড়ীর বড় বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা তসলিম, গোলাপ ও আলিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, তারা আড়ৎ থেকে যেভাবে কিনছেন, সেই হিসাবে খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন। তবে সকল সবজির দাম একটু বেশি হওয়ায় হিমসিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রয়োজনের তুলনায় কিনছেন কম। দাম বেশি চাইলে ক্রেতারা নানা ধরনের কথা বলেন। কিন্তু তাদের তো করার কিছু নাই। আজ ৩৮০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ কিনে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।

রাজবাড়ী কাঁচা বাজারের মেসার্স রবিন ট্রেডার্সের শহিদুল ইসলাম ও পবিত্র ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী শাজাহান বলেন, চাহিদার তুলনায় কাঁচা মরিচের আমদানি কম হয়েছে। যার কারণে দাম বেড়েছে। বুধবার তারা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। আর বৃহস্পতিবার বিক্রি করছেন ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা কেজিতে। আমদানি হলে কাঁচা মরিচের দাম কমে আসবে।