ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বাগেরহাটে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সদর উপজেলার কর্মকার পট্টি ও সোনাতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।
অভিযান পরিচালনাকালে নোংরা পরিবেশে খাবার দ্রব্য তৈরি এবং সোনার ক্যারেটে প্রতারণার করার অপরাধে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৩ ও ৪৫ ধারায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছায় পরিশোধ করে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় এ ধরনের অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
এ সময় একজন ভোক্তার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একটি সোনার দোকানকে সোনার ক্যারেটের প্রতারণা করার অপরাধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসাবে এক হাজার ২৫০ টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্রেতার ইচ্ছায় তার ক্রয়মূল্য তিন হাজার ৯০০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, নিয়মিত মনিটরিং এর অংশ হিসেবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করা হয় এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য থেকে বিরত থাকার জন্য লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সকল ব্যবসায়ীদের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানো, ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করা, নকল ও ভেজাল পণ্য/ঔষধ বিক্রয় থেকে বিরত থাকা এবং অবৈধ মজুদদারী করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি টিম সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
-এডি