ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক : তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, তার ওপর খুলনায় চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
দিন-রাতে সমানতালে হচ্ছে লোডশেডিং।
গত তিন দিন ধরে ২৪ ঘণ্টা-ই বিদ্যুতের যাওয়া-আসার খেলায় বিপর্যস্ত জনজীবন।লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে কল কারখানার উৎপাদনও।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এ অবস্থা। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে দিনের অধিকাংশ সময়। গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা, কোথাও আবার এর চেয়েও বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকছে না।
লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে রপ্তানি আয়ের অন্যতম খাত চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের তীব্র লোডশেডিংয়ে খুলনায় শুধু চিংড়ি খাতেই ক্ষতি হয়েছে অন্তত এক কোটি টাকা। সব খাত মিলিয়ে বিশ্লেষণ করলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় কয়েক গুনে। তাই জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি সবার।
বৃহস্পতিবার মহানগরের বাগমারা এলাকার সাদ্দাম হোসেন সুমন বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। রাতে অনেক কষ্ট হয়। এমনিতেই আমাদের এখানে তীব্র গরম চলছে, তার ওপর আবার বিদ্যুৎ থাকে না। খুব কষ্টে আছি।
কয়রার দেয়াড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম বলেন, দিন-রাত মিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয় বার লোডশেডিং হয়। তীব্র লোডশেডিংয়ে রাতে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। এ ছাড়া রাতে ভোল্টেজ কম, ফ্যান ঘুরতে চায় না। একে তো গরম, তার ওপর লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।
এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির তথ্য বলছে, গত তিন দিনে চাহিদার তুলনায় ২৫০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে। অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতে ঘাটতি প্রায় ৪০ শতাংশ।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পনির আওতায় খুলনা নগরে গ্রাহক দুই লাখ ৬৪ হাজার ১৮৬ জন। আর আট উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক চার লাখ ৯৯৫ জন।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শামসুল আলম বলেন, চাহিদার তুলনায় ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। তবে যা পাচ্ছি, তা সুষ্ঠু ভাবে বণ্টনের চেষ্টা করছি।