ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে শতক ছুঁয়ে থাকলেও গত ২-৩ দিন ধরে খুলনার বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় নেমেছে। সবজি বাজারেও তেমন একটা উত্তাপ নেই। তবে আলুর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, রমজানে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছোলার দাম না বড়লেও খেজুর, কুল আর পেয়ারার দাম কিছুটা বেড়েছে। একইসঙ্গে গরুর মাংসের দামও কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার নগরীর বড় বাজার, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার ও ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নগরীর জোড়াকল বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা জুয়েল জানান, গত ২/৩ মাস ধরেই পেঁয়াজের বাজার অস্থির রয়েছে। কখনো একশতো কখনো ১১০ টাকায় পেঁয়াজ বেচাকেনা হয়েছে। কিন্তু বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসায় এখন ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজ। যারা ভ্যানে করে বিক্রি করছে তারা আরও একটু কম দামে বিক্রি করতে পারছেন।
একই বাজারের সবজি বিক্রেতা রানা জানান, এখনও বাজার শীতের সবজিতে ভরপুর রয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপির দাম এখন ক্রেতার নাগালের মধ্যে। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। এছাড়া সীম ৩০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ইফতারের সময় বেশি প্রয়োজনীয় শশা, লেবু, গাজরের দাম একটু বেড়েছে।
নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের ব্যবসায়ী আলমাস বলেন, গত সপ্তাহেও আলুর দাম কম ছিল। সাড়ে তিন কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। কিন্তু এই সপ্তাহের শুরুতেই আলুর দাম একটু বেড়েছে। ফলে সাড়ে তিন কেজির স্থলে একশ টাকায় এখন তিন কেজির বেশি আলু বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রমজান মাসে কমে যেতে পারে এই দাম।
মাংস বিক্রেতা রেজাউল বলেন, গত ৩-৪ দিন ধরে বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও শনিবার ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
নগরীর বড় বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে ছোলা ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিড়া ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খেজুর বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে। ৩৫০ টাকার কমে কোনো খেজুর বাজারে নেই বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন বলেন, চিনি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির দাম একটু কমতে পারে যদি টিসিবি চিনি দেয়। একই ভাবে ছোলার দামও কমতে পারে।