ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খুলনার বাজারে আলুর ব্যাপক দর পতন হলেও পেঁয়াজের দাম কমছে না কিছুতেই। এর মধ্যে হঠাৎ করেই যেন দাম বেড়েছে সবজির। সেই সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে মাছও। শনিবার খুলনার ২-৩টি কাঁচা বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে আলুর ব্যাপক দরপতনে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।
নগরীর মিস্ত্রি পাড়া বাজারে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এই পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
একই বাজারের বিক্রেতা ইব্রাহিম হোসেন জানান, বাজারে এখন যে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে তা খুব দরাদরি করেই কিনতে হচ্ছে। কিন্তু পেঁয়াজের সরবরাহ আগের মতোই রয়েছে।
নগরীর সোনাডাঙা ট্রাক টার্মিনাল পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বন্ধ থাকায় কয়েক মাস ধরে চাষিদের তোলা মুড়িকাটা পেঁয়াজে চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। দেশীয় এ পেঁয়াজের সরবরাহও প্রায় শেষ। চাহিদার তুলনায় যোগানে টান পড়ায় আবারও বাজারে তার প্রভাব পড়েছে।
নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিন বলেন, বাজারে এখন আলুর কোনো ঘাটতি নেই। আলুর আমদানিও বেশ। তাই দামও কমেছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরও কমে যাবে।
তবে খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় মাছের আমদানিও কমে গেছে। আর এতে দাম বেড়ে গেছে।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নিয়ামত আব্দুর রহিম বলেন, মাছের দাম একটু বেড়েছে। খাল বিলের মাছ কমে যাওয়াই এর মূল কারণ।
তিনি বলেন, রুই, কাতলা আর মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কৈ মাছ ৬০০ টাকা, পারশে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, ইলিশ মাছ ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা, শোল মাছ ৫০০-৬০০ টাকা ও ভেটকি মাছ ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফুরিয়ে যাচ্ছে চিংড়ি মাছ। ৬০০ টাকার কমে এই মাছ এখন কেনাও সম্ভব হচ্ছে না।
বাজারে মাছ কিনতে আসা গৃহবধূ শাহনাজ বলেন, সাধারণ চিংড়ি মাছ কেনার চেয়ে গলদা আর বাগদা কেনা অনেক ভালো।