ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: মেহেরপুরের গাংনীতে এক ক্লিনিক মালিককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বামন্দী বাজারের করবী ক্লিনিকের মালিক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎকে এ দণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাদির হোসেন শামিম। পরে দণ্ডিতকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম জানান, গাংনী উপজেলার কালীতলা কল্যাপুর গ্রামের পিংকুর স্ত্রী রিভা খাতুন (২২) প্রসব বেদনা উঠলে তার পরিবারের লোকজন করবি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভোরের দিকে ভর্তি করেন। ডাক্তার আসছে, আসবে করে ওই রোগীকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখে ক্লিনিক মালিক কর্তৃপক্ষ। পরে দুপুর দেড়টা দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার বিডি দাস এসে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। অপারেশন করার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুর পর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ তড়িঘড়ি করে রোগী ও নবজাতককে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে, রোগী স্বজনরা জোরপূর্বক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অবস্থান নিয়ে আমাদের খবর দেন।
তিনি জানান, ক্লিনিকে গিয়ে নানা অনিয়ম ও ক্লিনিকটির কোনো কাগজপত্র সঠিক না থাকায় করবী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জাহিদুল ইসলাম ওরফে বিদ্যুৎকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান, চিকিৎসক আসার অজুহাতে ওই সিজারিয়ান রোগীকে প্রায় ছয় ঘণ্টা ক্লিনিকে আটকে রাখার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বোধা দীপ্ত দাসের (বিডি দাস) মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তার ফোনটি খোলা পাওয়া যায়নি।