ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নড়াইলে ‘বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ খাদ্য’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জেলা শাখা।
ক্যাব জেলা শাখার সভাপতি ম ম শফিউর রহমান শফিউল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্রত বাগচী, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রোকুজ্জামান, নড়াইল জেলা বণিক সমিতির সভাপতি ও নড়াইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক, নিরাপদ খাদ্য অফিসার আদ্দা আন সিনা, আব্দুল হাই সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাংবাদিক মলয় কান্তি নন্দী, রূপগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার ঘোষ, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল, সাংবাদিক জিয়ারউর রহমান জামি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা-অধিকার বিষয়টি তৃণমূল পর্যায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যারা খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও ব্যবসায়ের সাথে জড়িত তাদের নীতি নৈতিকতার দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। আইন দিয়েই সব কিছুর সুরাহ সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা-অধিকার আইন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এ বাকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তবিবর রহমান খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দীকুর রহমান, আব্দুল হাই সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মল্লিক, কৃষি বিপন কর্মকর্তা মো. জিয়া হায়দার, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো. হাবিবুর রহমান, বিডিএস এর সভাপতি মাহাবুর রহমান, অ্যাডভোকেট রওশান আরা লিলিসহ আরও অনেকে।
সভায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে মূল তথ্য উপস্থাপন করেন ক্যাব নড়াইলের সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান।
তিনি তার উপস্থাপনায় উল্লেখ করেন, নিরাপদ খাদ্য ও এ সংক্রাস্ত বিষয়াদি ৭ম শ্রেণি হতে ১০ম শ্রেণির পাঠ্য পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, নড়াইলে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহকে আরও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে, খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টদের এবং ভোক্তাদেরকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অধিকতর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে প্রচারণা বাড়াতে স্থানীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলসমূহে বা স্থানীয় পর্যায় প্রতিটি শপিং মলের টিভি স্ক্রীনে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং অধিদপ্তরের কার্যক্রমভিত্তিক বিভিন্ন সচেতনতামূলক ভিডিও কনটেন্ট প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা, প্রতিটি পণ্যের পাকা মেমো ক্রেতা-ভোক্তাদের নেয়া ও দেখার চর্চা করা, শহরভিত্তিক নয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজারসমূহে মূল্য তালিকা প্রদর্শন নিশ্চিত করা, নড়াইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকবলের স্বল্পতা রয়েছে এখানে লোকবল বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়।