দেশের চাহিদা মিটিয়ে মাছ উৎপাদন এখন উদ্বৃত্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।
তিনি বলেন, কিন্তু উদ্বৃত্ত মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশে মাছ চাষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং মানদণ্ড মেনে চলা হয় না। তবে দেশে এ মানদণ্ডে মাছ চাষ করতে মৎস্য অধিদপ্তরের বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া প্রয়োজন।
শনিবার বিকেলে ‘ময়মনসিংহ বিভাগের মৎস্যসম্পদ: বর্তমান অবস্থা ও টেকসই উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহের জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে মৎস্য অধিদপ্তর।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মাছ চাষে মানদণ্ডগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পানি ও খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে মাছের ওষুধ ব্যবহার করা। এসব বিষয় একটি মানদণ্ডের আওতায় চাষি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে না পারলে বিদেশে মাছ রপ্তানি করা যাবে না।
এ সময় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে মাছ চাষ করার জন্য মৎস্য চাষি ও খামারিদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন সেক্টরে আরও ৩-৪ হাজার জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা করবে সরকার। সরকারি খামারগুলো আধুনিকীকরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য অধিদপ্তর।
ময়মনসিংহ বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আফতাব হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।