ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: হাত বদল হতেই রাজশাহীতে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হচ্ছে সবজির দাম। এ কারণে কৃষকরা থাকছেন উপেক্ষিত। লাভের টাকা যাচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগীদের পকেটে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজশাহীর খুচরা ও পাইকারি সবজির বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজশাহীর অন্যতম পাইকারি সবজির মোকাম খড়খড়ি বাইপাস। সেখানে ক্ষেত থেকে সবজি তুলে বিক্রির জন্য আনেন চাষিরা। এই মোকামে গড়ে উঠেছে সবজির আড়ত। সেখান থেকে ট্রাকে করে বিভিন্ন ধরণের সবজি চলে যায় রাজধানী ঢাকায়।
শুক্রবার খড়খড়িতে প্রতিকেজি আলু ১৩ টাকা, বেগুন ৫ থেকে ১০ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢেড়স ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, করলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৬ থেকে ১৮ টাকা, সজনে ডাটা ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং প্রতিপিস লাউ ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খড়খড়ি থেকে পাইকারি সবজি কিনে নগরীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন এক শ্রেণির বিক্রেতা। অনেকে ভ্যানে ফেরি করেও সবজি বিক্রি করেন নগরীতে।
নগরীর খুচরা বাজারগুলোতে শুক্রবার আলু ২০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, ঢেড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা, সজনে ডাটা ১৬০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ফেরিওয়ালা সবজি বিক্রেতারা বাজারের চেয়ে কিছুটা বাড়তি দামে সবজি বিক্রির করছেন।
খড়খড়িতে গত দুই সপ্তা ধরে সবজির আমদানি কম বলে জানিয়েছেন সেখানকার পাইকারি সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, শীত মৌসুম শেষ হয়েছে। শীতকালীন সবজি আর সেইভাবে নেই। ফলে বাজারেও সবজি উঠছে কম। গৃষ্মকালীন আগাম কিছু সবজি উঠছে।
এ ছাড়া কিছু শীতকালীন সবজিও আছে। শীতকালীন সবজিগুলোর দাম তুলনামূলক কম হলেও গৃষ্মকালীন আগাম সবজিগুলোর দাম চড়া। মাস তিনেক বাজার এমনই চলবে।
সবজির বাজার খারাপ বলে জানিয়েছেন আরেক পাইকারি সবজি বিক্রেতা তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, জয়পুরহাট থেকে বাজারে প্রচুর মিষ্টি কুমড়া আসছে। তারা পাইকারি কিনছেন ১৬ থেকে ১৭ টাকা কেজি করে। সেই সাথে পরিবহণ ও শ্রমিক খরচা যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু এখনকার বাজারে মিস্টি কুমড়া ১৬ থেকে ১৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা লাভ হয়েছে তাদের।
এদিকে, উঠতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ। ফলে রাজশাহীর বাজারে কিছুটা কমতি পেঁয়াজের দাম। খড়খড়িতে শুক্রবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকা দরে।
খড়খড়ি বাজার থেকে শুক্রবার ১৫০ মন পেঁয়াজ কিনেছেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তুহিন। তিনি বলেন, গ্রাম থেকে গেরস্ত এখানে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসেন। আমি ২০ থেকে ২২ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি। নগরীর মাস্টার পাড়া বাজারে নিয়ে বিক্রি করব। কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা লাভে বিক্রি করব।
খড়খড়ি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় পাঠান পাইকারি ব্যবসায় রফিজ উদ্দিন জীবন। তিনি বলেন. গোদাগাড়ীর বিদিরপুর থেকে আসা পেঁয়াজ তিনি কিনেছেন ২০ টাকা কেজি দরে। ঢাকায় সেই পেঁয়াজ নেবেন। তার আসা এই পেঁয়াজ ঢাকায় বিক্রি হবে ২৫ টাকায়। পরবিহণ খরচ বাদ দিয়ে কিছুটা লাভ রাখবেন তিনি।