ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আমরা একসময় সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে পারতাম না। এখন ১৮ কোটি মানুষের এই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই খাদ্য নিরাপদ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
রোববার সকাল ৯টায় বগুড়ার মম ইন হোটেল এন্ড রিসোর্টে ভোক্তা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনে কর্মরত বগুড়া জেলার কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘নিরাপদ খাদ্য সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি’ বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউএসএআইডি ফিড দ্যা ফিউচার পলিসি এক্টিভিটি এবং বিসেফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে অধিদপ্তর যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ও ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে।
তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা বিশেষত বিএসটিআই এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাজারে খাবারের নিরাপদতা নিশ্চিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় শিশুখাদ্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না বলে জানান। ষ্ট্রীট ফুডের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপদতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রেবেকা খান এবং বিএসটিআই’র উপপরিচালক আরাফাত হোসেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রেবেকা খান নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বিষয়ক একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।
কর্মশালায় খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বিএসটিআই’র উপপরিচালক আরাফাত হোসেন বিএসটিআই আইনসহ প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করেন।
কমশালায় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, জাতীয় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনে কর্মরত বগুড়া জেলার কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।