ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বগুড়ার বাজারে শসা, লেবু, কাঁচা মরিচ, ঢেঁড়স, বেগুন, সজিনাসহ সকল সবজি এখন মানুষের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। ফিরে এসেছে ক্রেতারদের ভেতরে স্বস্তি।
বগুড়ার পাইকারি পণ্যে মহাস্থান হাটে প্রচুর গ্রীষ্মকালিন সবজির সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে তিন গুন সরবরাহ বেড়েছে। এক সময় শসা ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। আবহাওয়া গ্রীষ্মকালিন সবজির অনুকূলে থাকায় উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুন এমনটি জানালে মহাস্থান হাটে শসা বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জ উপজেলার সলিম মোল্লা।
তিনি ক্ষেত থেকে হাটে পাইকারদের কাছে শসা (দেশী) বিক্রি করছেন ১২ টাকা কেজি দরে। সেই শসা জেলা শহরের পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি।
শহরের পাইকারি বাজারেও খুচরা সবজি বিক্রি হওয়ায় ওই বাজারে ক্রেতারা সবজি ক্রয়ে হমড়ি খেয়ে পড়েছেন। হাট থেকে তিন হাত ঘুরে খুচরা বাজারে শসা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ায় শহরের মানুষ শহরের পাইকারি বাজারকে বেছে নিয়েছেন। খুচরা বাজারে হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে। মহাস্থান হাট থেকে পাইকারদের কাছে হাইব্রিড শসা বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকা কেজিতে।
ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে। এক সময় যে কাঁচা মরিচের দাম ডবল সেঞ্চুরীতে উঠেছিল স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় মিলছে বগুড়ার পাইকারি বাজারে। গত কয়েকদিন আগে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। ১৫০ থেকে ২০০ টাকার সজিনা এখন বিত্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে।
মহাস্থান হাটের কৃষক নইম উদ্দিন জানান, এখন হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও অতিবৃষ্টি হলে দাম বেড়ে যাবে। তবে এখন সবজি বিক্রি করতে আর ক্রেতাদের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়না। লেবু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ২০ টাকা হালি। অথচ গত রমজানে মানুষ লেবুর ধারে কাছে যেতে পারেনি।