ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় অনুমোদন ছাড়া পরিচালনার দায়ে দুই বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করে সিলগালা করা হয়েছে। এ সময় একটি সুপারশপকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় যৌথ ভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রেজভী।
সিলগালা হওয়া প্রতিষ্ঠান দুটি হলো, খালেদা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বসুন্ধরা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামছুন্নাহার ও বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. দিবাকর বসাক।
মেডিকেল অফিসার দিবাকর বসাক জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলার বেসরকারি ক্লিনিক দুটির বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটির কোনো নিবন্ধন ছিল না। এছাড়াও নিয়ম না মেনে তারা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন। তাদের রেজিস্ট্রার্ড কোনো নার্সও নেই। পাশাপাশি রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সেবার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করতেন।
তিনি বলেন, এসব কারণে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে দণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ক্লিনিক দুটি সিলগালা করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
জানা যায়, একই দিন বিকেলে উপজেলার সুরুজ আলী সুপারশপ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে অনুমোদনবিহীন বিদেশি পণ্য পাওয়ায় আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।