ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আগামী ১৫ মে থেকে নাটোরে গাছ থেকে নিরাপদ গুটি জাতীয় আম ও ২০ মে থেকে লিচু পাড়া, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ শুরু হবে। তবে গোপালভোগ দিয়ে মিষ্টি জাতের আম বাজারে আসবে ২৫ মে।
এরপর ৩০ মে রাণীপছন্দ, ২০ জুলাই আশ্বিনা ও ২০ আগস্ট গৌরমতি আম বাজারে আসবে। জেলা প্রশাসন থেকে আম ও লিচু বাজারজাতের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে আম বা লিচু বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু নাছের ভূঁঞা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাগান মালিক, ফল ব্যবসায়ী, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ তারিখ ঘোষণা করে এমন হুঁশিয়ারি দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (উদ্যান) শামসুর নাহার ভূঁঞা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় এবার আম, লিচুসহ গ্রীষ্মকালীন ফল দেরিতে এসেছে। বাজারে যাতে অপরিপক্ব এবং ভেজাল মিশ্রিত কোনো ফল বিক্রি করতে না পারে, সে জন্যেই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এ ফল পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সভায় ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী গাছ থেকে স্থানীয় মোজাফর জাতের লিচু পাড়তে পারবেন ২০ মে থেকে এবং বোম্বাই ও চায়না জাতের লিচু ২৭ মে থেকে পাড়া যাবে। এছাড়া স্থানীয় গুটি জাতের আঁটির আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এছাড়া গোপালভোগ ২৫ মে, রাণীপছন্দ ৩০ মে, লক্ষণভোগ ৫ জুন, খিরসাপাত ৩০ মে, ল্যাংড়া ১২ জুন, মোহনভোগ ২০ জুন, হাড়িভাঙ্গা ২৫ জুন, ফজলি ৩০ জুন, আম্রপালি ২৫ জুন, মল্লিকা ৫ জুলাই, বারি আম ১০ জুন, আশ্বিনা ২০ জুলাই ও গৌরমতি জাতের আম ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন আম চাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক এবং ব্যবসায়ীরা।
এর আগে আম বা লিচু বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সভায় আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী, বাগান মালিকসহ ব্যবসায়ীরা।