ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নওগাঁয় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়েছে। দাম বেড়ে কাটারিভোগ ৬৮-৭০ টাকা, জিরাশাইল ৬৪-৬৬ টাকা ও ব্রি-২৮ ও ২৯ চাল ৫৬-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চালকল মালিকরা বেশি দামে ধান কিনে চাল উৎপাদন করতে খরচ বেশি পড়ছে। ফলে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চালের দাম ২-৪ টাকা বেড়েছে। সরকারের বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু থাকায় ক্রেতারা খোলা বাজার থেকে কম চাল কিনায় বাজার প্রায় ক্রেতা শূন্য।
সুলতানপুর মহল্লার বাসিন্দা রিকশাচালক আফজাল হোসেন বলেন, বাড়িতে পাঁচ জন সদস্য। প্রতিদিন আড়াই কেজি চাল লাগে। এক মাস আগে এক বস্তা ব্রিআর-২৮ চাল দুই হাজার ৬৫০ টাকায় কিনেছিলাম। পাঁচ দিন আগে কিনতে হয়েছে দুই হাজার ৭৫০ টাকায়। এছাড়া নিত্যপণ্যের অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও বেশি।
নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজার সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, এ সময়ে চালের দাম কিছুটা বাড়তি থাকে। প্রকার ভেদে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়েছে। চালের দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের কষ্ট বেড়েছে।
নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বাজারে ধান ১২৫০-১৫২০ টাকা মণ। গত এক মাসে প্রকারভেদে সব ধরনের ধানের দাম মণে ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। চালকল মালিকরা বেশি দামে ধান কিনে চাল উৎপাদন করতে খরচ বেশি পড়ছে।