ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: পাবনার সুজানগরে সাত ব্যবসায়ীকে ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান রনি এ অভিযান পরিচালনা করেন।
তরমুজের সাইজ অনুযায়ী দাম নির্ধারণ না করা ও ভাউচার সংরক্ষণ না করা, তালিকা না দেওয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, ফলের দাম বেশি রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিককে এ জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, তরমুজ বিক্রেতা আনিছুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা, হাসেম গোস্ত ভাণ্ডারকে দুই হাজার টাকা, শামসুল ফল ভান্ডারকে ১০ হাজার টাকা, সেলিম ফল ভাণ্ডারকে ১০ হাজার টাকা, এরাদ নামে এক তরমুজ ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা, ডাক্তার না হয়ে পদবী ব্যবহার করায় সুবোধ চন্দকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স সৌমিক ওষুধের দোকানের মালিক জালাল উদ্দিন শেখকে মুদির দোকানে ওষুধ বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাহমুদুল হাসান রণি জানান, আজকের অভিযানে বিভিন্নপ্রতিষ্ঠান মনিটরিং করে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত ২৯ টি পণ্য নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির জন্য মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তরের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সুজানগর থানা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেন।