ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা বাজার এলাকায় নকল স্যালাইন তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ যৌথ অভিযান চালানো হয়। এ সময় কারখানার মালিক ফিরোজ আহমেদকে (৩৬) এক লাখ টাকা জরিমানা ও উৎপাদিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া আরও চার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়মে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রণি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা পিওর ফুড অ্যান্ড বেভারেজ নামক প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা করা হয়। ওই কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নকল, অস্বাস্থ্যকর ওরাল স্যালাইন, টেস্টি হজমি নামের মানহীন ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করা হতো। তারপর উৎপাদিত পণ্য পাবনাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হচ্ছিল।
তিনি জানান, অনুমোদন ছাড়াই বিএসটিআই এর লেগো ব্যবহার করা হচ্ছিল। উৎপাদিত পণ্যে নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার, ওজনে কম দেওয়াসহ নানা অনিয়ম দেখা যায়। নোংরা পরিবেশে কোনো কেমিস্ট ছাড়াই কিছু শ্রমিক স্যালাইন তৈরির কাজ করেন। এ প্রতিষ্ঠানের মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানাসহ বিপুল পরিমাণ নকল ওরাল স্যালাইন ও ভেজাল টেস্টি হজমি জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এদিকে, পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া বাজার সংলগ্ন ফরিদুল ইসলাম সোহেল এর মেসার্স সোহেল এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।
অন্যদিকে, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার নতুনহাট গ্রীনসিটিতে একেএম মাহবুবুল আলম খানের গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানকে পণ্যের গায়ে মূল্যের উল্লেখ না থাকা,অনুমোদনহীন মূল্য ট্যাগ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।
এছাড়া, একই এলাকার আহসান হৃদয় সাবিহা বুটিক্স অ্যান্ড ভ্যারাইটিজ স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার এবং আব্দুল্লাহ আল রাজিবের প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।