ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চিকিৎসক না হয়েও ভুয়া উপাধি ব্যবহার করে শুধু প্রশিক্ষণের জ্ঞান নিয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে চক্ষু রোগের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন পাবনার সাঁথিয়ার এম এইচ শাহীন। এ অপরাধে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার করমজা ইউনিয়নের করমজা সরদারপাড়ায় অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, এম এইচ শাহিন এক সময় ডাক্তারের কম্পাউন্ডার ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তিনি তার নিজ বাসভবনে চেম্বার খুলে চোখ পরীক্ষার বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে চক্ষু রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসন সোমবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদানের অপরাধে তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় চক্ষু পরীক্ষার সকল যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। অভিযুক্ত শাহীন ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করলেও তিনি প্রশিক্ষণের কাগজ ছাড়া কোনো ডাক্তারী সনদ দেখাতে পারেননি।
অভিযান পরিচালনার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো ধরনের ডাক্তারি পড়াশোনা ও সার্টিফিকেট ছাড়া চোখের মত স্পর্শকাতর অঙ্গের চিকিৎসা সেবা দেওয়া যে কারও জন্য বিপদ হতে পারে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।