রাজশাহীতে কাঁচা মরিচের কেজি ২৫০ টাকা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: পবিত্র ঈদ-উল-আজহার পর সপ্তাহের প্রথম দিন রাজশাহীর বাজারে কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগেও ছিল ২০০ টাকা কেজি। তবে সবজির দাম কমতির দিকে থাকলেও বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম।

শনিবার মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অত্যন্ত চড়া। প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা হালিতে। বাজারের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সবজি আলুর দামও বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদা ও রসুন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সাহেব বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা ইয়াসিন আলী বলেন, ঈদের আগেও মরিচ বিক্রি করেছি ২০০ টাকা কেজিতে। গত তিন সপ্তাহে থেকে মরিচের দাম বাড়তেই আছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিলে আমাদেরও বেশি রাখতে হচ্ছে। এছাড়াও অনেক সবজির দাম কমের দিকে আছে।

বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, এছাড়াও ঢ্যাঁড়স ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙে ও ধুন্দুল ৪০, সজনে ডাঁটা ৬০, পটল ৪০, কাঁচামরিচ ২০০, লাউ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।।

এদিকে, বাজারে কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালী মুরগির দাম। এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকাতে। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। গরু প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা ও খাসি ১১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় ও শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।