গোলাম মোস্তফা মামুন: অসাধু ও অধিক মুনাফাভোগী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহী জেলা কমিটি।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাব রাজশাহীর উপদেষ্টা (অভিযোগ) ইঞ্জিনিয়ার খাদেমুল ইসলাম।
মানববন্ধনে নিষিদ্ধ খোলা ভোজ্যতেল (ড্রামে) বিক্রয় বন্ধের পাশাপাশি বাজারকে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ক্যাব রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ক্যাবের জেলা কমিটির উপদেষ্টা ও সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ আব্দুস সালাম আল-মাদানী, ক্যাবের জেলা কমিটির উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবু সালেহ ফাত্তাহ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কবি অম্লান অনিরূদ্ধা, সদস্য রওশন ইসলাম ও ক্যাব রাজশাহী ইয়ুথ শাখার সভাপতি জুলফিকার আলী।
আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাব রাজশাহীর সহ-সভাপতি সুব্রত হেমব্রম, মোহনপুর উপজেলার সভাপতি রুবেল সরকার, ক্যাবের জেলা ও উপজেলা কমিটির সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে ক্যাবের রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও অতি মুনাফালোভী বাজার সিন্ডিকেটকারীদের পতন হয়নি। তারা বহাল তবিয়তে আছে। এই চক্রের কারণে বাজারে আলু, পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এই অসাধু চক্র ভেঙে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও তাদের সঠিক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সাজার আওতায় আনতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
মানববন্ধনে আট দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- অসাধু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, বাজার অভিযান বৃদ্ধি করতে হবে, টিসিবির ট্রাকসেল বাড়াতে হবে, খোলা বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রেতাদের কঠোর ভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে, ভোক্তা স্বার্থ দেখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা বিভাগ বা কনজুমারস মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে, সরকার এক কোটি পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপণ্য দিচ্ছে- এর সংখ্যা দেড় কোটি করতে হবে, আইনে নিষিদ্ধ থাকা বাজারে খোলাভোজ্য তেল (ড্রামে) বিক্রেতাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।