ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্তে বসে বাহারি ইফতারির পসরা। তবে ফুটপাত থেকে অভিজাত সব দোকানে ইফতারি তৈরিতে দেখা গেছে পোড়া তেলের ব্যবহার।
এছাড়া, খাবার তৈরি করা হচ্ছে অপরিষ্কার হাতে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। মেয়াদের লেবেলহীন খাবার ও কার্বনযুক্ত অস্বাস্থ্যকর সংবাদপত্রে বিক্রি ও সরবরাহ করা হচ্ছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে এসব তথ্য উঠে আসে।
রাজশাহীর সাহেব বাজারের শামীম সুইটসে অভিযান চালায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ওই দোকানের জিলাপি বিখ্যাত হলেও তা পোড়া তেলে ভাজা হচ্ছিল। এ সময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জিলাপি ধ্বংস করার পাশাপাশি সতর্ক করে।
শামীম সুইটসের মালিক মাহবুব হাসান বিজয় বলেন, তারা বুঝতে পারেননি। ভুল হয়েছে। আগামীতে আর হবে না।
সাহেব বাজারের ফুটপাতে পোড়া তেলে ইফতারি তৈরি করছিলেন গণেশ দাস। তিনি বলেন, আগের পোড়া তেলের সঙ্গে নতুন তেল মেশানো হয়েছিল। তার তেল পরীক্ষায় খাবার অযোগ্য বিবেচিত হয়।
একই অবস্থা পাওয়া গেছে শহরের বিদ্যুৎ হোটেলেও। সেখানে কার্বনযুক্ত কাগজের ব্যবহার, মেয়াদহীন খাবার পাওয়া যায়।
রহমানিয়ার ফিরনি রাজশাহীজুড়ে বিখ্যাত। তবে এতে কোনো মেয়াদ দেওয়া নেই। তাদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
সাহেব বাজারের ফুটপাতে ফিরোজ জিলাপির আটা মাখানো হচ্ছিল অপরিষ্কার হাতে। তার হাত পরীক্ষায় মিলেছে তীব্র মাত্রায় জীবাণু।
পাশের সোহেল নামের আরেকজনের হাত পরীক্ষায়ও জীবাণু পাওয়া গেছে।
রাজশাহী রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ আহমেদ খান বলেন, তারা সচেতন হলেও ফুটপাতে ইফতারি বিক্রেতা বেশি। তারা কোনো নিয়ম মানছেন না।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের আইনে জরিমানা অনেক বেশি। এ কারণে সবাইকে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে নিয়ম না মানলে জরিমানাসহ দোকান সিলগালা করে দেওয়া হবে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের রাজশাহী শাখার কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, প্রায় সব দোকানেই অস্বাস্থ্যকর পোড়া তেলে তৈরি হচ্ছে ইফতারি। এসব তেলের তৈরি খাবার খেলে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া অপরিচ্ছন্ন হাতে অনেকেই কাজ করছিলেন। তাদের হাতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাই ইফতারি কেনার ক্ষেত্রে ভোক্তাকেও সচেতন হতে হবে।