ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খরা নিয়ে জনমত তৈরি ও সংকট উত্তোরণে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে রাজশাহীতে দিনব্যাপী জাতীয় খরা সম্মেলন ২০২৩ হয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে চারটি সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি এ এন কে নোমান।
খানির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, একশন এডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারা কবীর প্রমুখ।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অক্সফাম বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাহমুদা আক্তার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর সুলতানুল ইসলাম ও অধ্যাপক হুমাউন কবীর প্রমুখ।
জাতীয় খরা কনভেনশন আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উন্নয়ন সংস্থা প্রাণ এর নির্বাহী প্রধান নুরুল আলম মাসুদ বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খরা প্রধান বাধা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এ চরম সময়ে জীবন-জীবিকা, স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তাসহ কম-বেশি সব ক্ষেত্রেই খরা এ দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন হেক্টর এলাকা খরাপ্রবণ। উত্তরে খরার প্রভাব আগামী ৫০ বছরের মধ্যে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলেও প্রসারিত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে খরার সমস্যাকে বাংলাদেশের উন্নয়ন আলোচনায় অগ্রাধিকার বিবেচনা করতে হবে। এ লক্ষ্যেই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।