ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সিরাজগঞ্জ শহরের সবজির অন্যতম বড় পাইকারি মোকাম ‘আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম পৌর কাঁচা বাজার’। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমলেও নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজ ও আলু। এতে বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষ।
শনিবার সকালে আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম পৌর পাইকারি কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। সেই শসা শহরের ৩০০ মিটার দূরের বড় বাজারে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
এছাড়া, ওই পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা, গোল বেগুন ৩৫, করলা ৭০, পেঁয়াজ ১০০, দেশি রসুন ২০০, আদা ২৫০, পটোল ২০, কচুর মুখি ৫৫ ও লেবু ১ টাকা পিস।
অথচ এক হাত বদলের পর শহরের বড় বাজার ও বাজার স্টেশনে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৫০-২৮০ টাকা, গোল বেগুন ৬০, করলা ১০০-১১০, পেঁয়াজ ১১৫-১২০, দেশি রসুন ২৫০, আদা ২৮০, পটোল ৪০, কচুর মুখি ৭০, ৪ টাকা পিস লেবু বিক্রি হচ্ছে।
জেলা শহরসহ আশপাশের আরও দুটি সবজির বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কৃষকপর্যায়ে দাম কম থাকলেও ভোক্তাপর্যায়ে কয়েক গুন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, কৃষক মাঠে ফসল ফলিয়ে ন্যায্যমূল্য না পেলেও অতিরিক্ত মুনাফায় পকেট ভারী হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের। নজরদারির অভাবে ইচ্ছামতো দাম নেওয়া হচ্ছে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি মনিটরিং প্রয়োজন।
মোহাম্মদ নাসিম পৌর পাইকারি কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সজীব খান বলেন, এই পাইকারি বাজারে মোট ২২টি মোকাম রয়েছে। এখানে প্রতিদিন গড়ে ২০ লাখ টাকার সবজি ক্রয়-বিক্রয় হয়।
শহরের বড় বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, আমরা আড়ত থেকে সবজি কিনে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। সীমিত লাভে সবজি বিক্রি করি। আড়তদাররা কী দামে সবজি কেনেন তা বলতে পারবো না। কৃষকের সবজি কয়েক হাত বদল হয়ে খুচরাপর্যায়ে আসতে আসতে দাম বাড়ে। এতে ক্রেতারা অনেক সময় আমাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন। কিন্তু আমাদের তো কিছুই করার নেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, বন্যায় কৃষকের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বিভিন্ন সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী।