মাসউদ রানা: দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ বলেছেন, একমাত্র জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে অস্থায়ী কুরবানীর হাট বসানো যাবে। চেয়ারম্যান বা মেয়রের অনুমতি নিলে হবে না। হাইওয়ে রাস্তার পাশে কোনো হাট বসানো যাবে না।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষ কাঞ্চনে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, কুরবানীর প্রাণীর হাটগুলোতে অবশ্যই জাল টাকা শনাক্তের জন্য স্থানীয় ব্যাংকের বুথ থাকতে হবে এবং কুরবানীর উপযোগিতা ও প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের বুথ থাকতে হবে। অন্যথায় সে হাট বন্ধ করে দেয়া হবে। হাটে কাঁচা লবণ বিক্রয়ের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। যে সকল মাদ্রাসা চামড়া সংগ্রহ করে বিসিক তাদের বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করবে।
তিনি বলেন, কুরবানীর প্রাণী নির্দিষ্ট স্থানে জবাই করতে হবে। এ জন্য পৌরসভা এলাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ স্থান নির্ধারণ করে দেবে। বর্জ্য অপসারণের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চামড়া পাচার রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে বিজিবি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মাদক ও ঈদে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি রোধে এবং পরিবহন ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দিনাজপুরে শহিদ গোর- এ ময়দান বড় মাঠে অনুষ্ঠেয় এশিয়ার বৃহৎ ঈদের জামায়াতের সর্বস্তরের নিবিড় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জেলা প্রশাসক।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ নূর এ আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য প্রদান করেন ২৯ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক এ বি এম জাহিদুল করিম, সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকী, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সিফাত এ রাব্বান, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক শামীম চৌধুরী দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আবু তৈয়ব আলী দুলাল, দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. নুরুল হুদা দুলাল, জেলা ক্যাবের নির্বাহী সদস্য মাসউদ রানা প্রমুখ।
এ সময় বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।