ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: এক সপ্তহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কাঁচা মরিচসহ প্রতিটি সবজির দাম দ্বিগুন বেড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ১২০ টাকা।
গত সপ্তাহে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর আজ শুক্রবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। এভাবে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, লাগামহীন ভাবে কাঁচা সবিজর দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের সংসার চালানো দুস্কর হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, সম্প্রতি টানা কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন কম হয়েছে। তাই বাজারে সরবরাহ কমেছে। তাই দাম বেড়েছে। বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেলেই দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
শুক্রবার হিলি কাঁচা বাজারে সবজি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
স্টেশনের রোডের জাকির হোসেনের বলেন, আমি শ্রমিকের কাজ করি। বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে এসেছি। দাম শুনেইতো চোখ কপালে উঠলো। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম চাচ্ছে ৬০ টাকা। অর্থাৎ ২৪০ টাকা কেজি। অথচ গেল শুক্রবারই ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম ৩০ টাকা দিয়ে। তাই আজ ২৪ টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনলাম।
সবজি ক্রেতা ফরহাদ ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে প্রতিটি কাঁচা সবজির দাম কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। ৩০ টাকা কেজি দরে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। ৫০ টাকা কেজি দরের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। ৩০ টাকা কেজি দরে ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। ৩০ টাকা কেজি দরের মিষ্টি কদু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এভাবে প্রতিটি সবজির দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
খুচরা সবজি বিক্রেতা শাহিন বলেন, আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দাম কিনে আনি। তার থেকে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। কাঁচা পণ্য অনেক সময় অবিক্রিত থাকে। পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় ফেলে দিতে হয়। তাই ১০ টাকা পর্যন্ত লাভ ধরে বিক্রি করতে হয়।
পাইকারি সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, হিলি বাজারে যেসব কাঁচা সবজি বিক্রি হয় সেসব আমাদের পাশের উপজেলা পাঁচবিবি বা বিরামপুর থেকে কিনে আনতে হয়। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে থাকায় মোকামে সরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেড়ে গেছে। শুক্রবার থেকে আকাশের অবস্থা একটু ভাল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আশা করছি ফসলের ক্ষেত থেকে পানি নেমে গেলেই বাজারে সবজরি সরবরাহ বাড়বে। তখন দামও কমে আসবে।
খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, কাঁচা পণ্য সকালে বাড়ে, বিকেলে কমে। আমরা বেশি দামে কিনলেই বেশি বিক্রি করি। আবার কম দামে কিনলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কিছুটা কম হয়। সরবরাহ বৃদ্ধি হলে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করবে।