ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গুঁড়া হলুদ তৈরীর কারখানা। এসব কারখানায় ক্ষেতের হলুদের সঙ্গে ইট ও ধানের কুড়াসহ রং মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে গুঁড়া হলুদ। এই হলুদ প্যাকেট করে পাইকারি দামে বাজারজাতে মেতে ওঠেছে বিশাল একটি চক্র।
জানা যায়, উপজেলার হলুদ চাষখ্যাত এলাকা হচ্ছে ধাপেরহাট ইউনিয়ন। এ অঞ্চলের এমন কোন কৃষক নেই যিনি হলুদ আবাদ করেন না। এখানকার প্রায় প্রত্যেক কৃষক যুগ যুগ ধরে হলুদ আবাদ করে আসছেন। এর ফলে সরকারি প্রকল্প থেকে হলুদ পল্লী এলাকা হিসেবেও নামকরণ করা হয়েছে। এরই সুযোগে আম বাগান ও ধাপেরহাটসহ আশপাশ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠেছে গুঁড়া হলুদ কারখানা। এ কারখানাগুলোতে ইটের গুঁড়া, ধানের কুড়া ও রংসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপকরণ দিয়ে মেশিনে তৈরী করে চলেছে গুঁড়া হলুদ।
বুধবার বিকেলে ধাপেরহাটস্থ প্রস্তুতকারক ও মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান সাদিয়া ফুড প্রোডাক্টসে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। সে সময় ভেজাল গুঁড়া হলুদ প্রস্তুত করার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ কারখানার মালিক বাবলু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল কারবার চালিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, খাটি গুঁড়া হলুদ কেনার আগে অবশ্য সতর্ক হতে হবে। বিশ্বস্ত কোনো কারখানার হলুদ গুঁড়া কেনার চেষ্টা করতে হবে। তবে যদি বাজার থেকে কাঁচা হলুদ কিনে নিজেই গুঁড়ো বানিয়ে হলুদ তরকারিতে খাওয়া সবচেয়ে উত্তম। নচেৎ ভেজাল গুঁড়া হলুদ খেয়ে শরীরে জটিল-কঠিন রোগ দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ভেজাল খাদ্যপণ্য প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ধাপেরহাটে গুঁড়া হলুদ তৈরীর কারখানা সাদিয়া ফুড প্রোডাক্টসকে অর্থদণ্ড করা হয়।